কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয় ৯ দিন ধরে তালা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন ইউনিয়নবাসী।
সমস্যা সমাধানের জন্য সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয় শত শত নারী হাতুড়ি দিয়ে ইউপি কার্যালয়ের তালা ভাঙেন। এর পর মিছিল করে তারা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে তুলে পরিষদে নিয়ে আসেন এবং তার চেয়ারে বসান।
জানা গেছে, গত ৪ জানুয়ারি রাতে যদুবয়রা ইউপি চত্বরে ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয় এবং স্লোগান দেয়া হয়। ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার নেতৃত্বে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এরপর রাত ৯টার দিকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল করে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা দেন।
পরদিন, ইউপি কার্যালয় থেকে পরিষদের সচিব, গ্রাম পুলিশ ও সেবাপ্রত্যাশীদের বের করে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে জনসাধারণের ভোগান্তি শুরু হয়। সোমবার, শতশত নারী এসে হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে চেয়ারম্যানকে বাড়ি থেকে এনে পরিষদে বসান।
যদুবয়রা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম আসাদ জানান, তারা এ ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে, যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, ছাত্রলীগের কেক কাটা ছিল একটি ষড়যন্ত্রের অংশ, যা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা করেছে। বিএনপির লোকজন এ কারণে কার্যালয়ে তালা দিয়ে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলেছিলেন, আর এজন্য সোমবার নারী সেবাপ্রত্যাশীরা তালা ভেঙে তাকে পরিষদে নিয়ে এসেছেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, তারা দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন, যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং নির্দেশনা পেলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
0 Comments