বনের গাছ কেটে সরকারি ভূমি দখল, প্রহরীকে হুমকি দিলেন যুবদল নেতা

যুবদল নেতা ফাহাদুল ইসলাম পাভেল

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে ফাহাদুল ইসলাম পাভেল নামের এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে বন বিভাগের গাছ কেটে সরকারি জায়গা দখল করে হোটেল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে বাঁধা দেওয়ায় বন প্রহরীকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পিটানোর হুমকি দেন ওই যুবদল নেতা।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে হাতিয়ার সাগরিয়া রেঞ্জের রহমত বাজার ক্যাম্পের বন প্রহরী মো. মাহমুদুল হাসান এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে, ১১ জানুয়ারি, অভিযুক্ত যুবদল নেতা বন প্রহরীকে তার দোকানে ডেকে নিয়ে হুমকি দেন।

ফাহাদুল ইসলাম পাভেল, যিনি বুড়িরচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। পাভেল হঠাৎ করেই নেতা বনে যাওয়ার পর স্থানীয় বিএনপি নেতাদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছেন। তার কর্মকাণ্ড স্থানীয়দের মধ্যে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

বন প্রহরী মো. মাহমুদুল হাসান অভিযোগ করেন, ৪ জানুয়ারি, পাভেল তার সঙ্গী নিয়ে নোয়াখালী উপকূলীয় বনবিভাগের চর আলিমবিট সাগরিয়া রেঞ্জ থেকে ১৪-১৫টি গাছ কেটে নিয়ে যান। ওই গাছগুলো বুড়িরচর ইউনিয়নের রহমত বাজার সংলগ্ন গোলতলা পর্যটন স্পটে একটি হোটেল নির্মাণে ব্যবহার করা হয়। ক্যাম্পে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় বন প্রহরী তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেননি। পরে তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান। এর পর পাভেল তাকে তার ফার্মেসীতে ডেকে নিয়ে বলেন, সরকারি চাকরি করতে হলে তার বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, নয়তো তাকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেটানো হবে।

অভিযুক্ত যুবদল নেতা ফাহাদুল ইসলাম পাভেল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোনো গাছ কাটেননি এবং কোনো হোটেলও দেননি। তিনি দাবি করেন, যদি বন প্রহরী সরেজমিনে এসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা যেতে পারে।

এদিকে, উপকূলীয় বনবিভাগের সাগরিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রণব কুমার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ৮-৯টি গাছ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি গাছ ওই যুবদল নেতার নির্মিত হোটেলে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।