দুই সপ্তাহের মধ্যে আ. লীগকে নিষিদ্ধ না করলে যমুনা ঘেরাও

 

দুই সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে যমুনা ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধী বিক্ষোভ ও গণমিছিলে অংশ নিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ছয় মাস হয়ে গেল এখনও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। অতি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছেন; যুবলীগ-আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করতে পারবে না।’

আরও পড়ুন: শহীদদের অবদান ভুলে রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত ছাত্র উপদেষ্টারা: রাশেদ খান

উপদেষ্টা পরিষদের সমালোচনা করে রাশেদ বলেন, 

রাষ্ট্র সংস্কার করতে চাইলে আগে উপদেষ্টা পরিষদকে সংস্কার করতে হবে। এই পুলিশ-র‍্যাবকে দিয়ে সংস্কার করা যাবে না। প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। আগে প্রশাসনের মধ্যে সংস্কার করতে হবে।’

একই কর্মসূচি থেকে দলের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার করে আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের ব্যাপারে সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ছয় মাস পার হলেও স্থানীয় সরকার ইস্যুতে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। স্থানীয় সরকার ছাড়া একটা সরকার শক্তিশালী হবে কীভাবে?’
 

গণ-অধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে অস্থিরতার কিছু নেই। নির্বাচন নিয়ে যত আওয়াজ দেখি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে তত আওয়াজ দেখি না।’
 

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নিরীহ সমর্থকরা প্রয়োজনে নতুন নামে রাজনীতি করবে: নুর

তিনি বলেন,

নির্বাচনের আগে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার করতে হবে। তার আগে নির্বাচন করা যাবে না। সংস্কার করতে হবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। এর মাধ্যমে প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষা যাচাই করতে পারব।

‘ফ্যাসিবাদ নির্মূল ও গণহত্যাকারীদের বিচারসহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত গণ-অধিকার পরিষদ সারা দেশে আন্দোলনের পাশাপাশি রাজপথে সোচ্চার থাকবে।’ বলেন তিনি।

নুর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে গণ-অধিকার পরিষদ কোনো আপস করবে না। যারা করবে তাদের বিরুদ্ধেও আমরা অবস্থান নেব।’

তিনি বলেন, ‘বিপ্লবের পর নানা সুবিধাভোগী বিপ্লবী তৈরি হয়েছে। কেউ কোর্টে ব্যবসা করছে, কেউ থানায় ব্যবসা করছে, কেউ ইউএনও অফিসে ব্যবসা করছে। বিপ্লবের নামে এই নব্য ব্যবসায়ীদের রুখে দিতে হবে।