মাদক বিক্রির টাকা না পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় অটোরিকশা চালক ফারুক হোসেনকে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি জেলার কচুয়া উপজেলার ছোট ভবানীপুর এলাকায় বস্তাবন্দি অবস্থায় ফারুকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামিসহ তিনজনকে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব এক সংবাদ সম্মেলন করে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মূলত মাদকের টাকা ভাগাভাটি এবং মাদক বিক্রির টাকা না পেয়ে অপর অটোরিকশা চালক আরিফুর রহমান শ্বাসরোধে হত্যা করে তার বন্ধু ফারুক হোসেনকে। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতের এ ঘটনার পর চাঁদপুরের কচুয়ার ছোট ভবানীপুর এলাকায় গলায় রশি পেঁচানো বস্তাবন্দি মরদেহ ফেলে রাখে ঘাতক আরিফ।
আরও পড়ুন: সন্তানকে পোড়ানোর পর নিজের মাকে পিটিয়ে মারলেন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ছায়েরা বেগম কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে ঘটনার পর থেকে রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে কচুয়া থানা পুলিশ। একপর্যায়ে গত ২৪ ঘণ্টার এক অভিযানে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে প্রধান আসামি আরিফ, সহযোগী আল আমিন (২৪) এবং আবুল খায়েরকে (৪০) গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত অটোরিকশা এবং ভিকটিম ফারুক হোসেনের মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব আরও জানান, মূলত মাদকের টাকা ভাগাভাগি এবং মাদক বিক্রির টাকা না পেয়ে আরিফ তার বন্ধু ফারুককে শ্বাসরোধে হত্যা করে। বেশ বিচক্ষণতার সঙ্গে এবং দ্রুত সময়ে অটোরিকশা চালক ফারুক হোসেন হত্যা মামলার কিনারা করতে সক্ষম হয়েছেন, তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে, পুলিশ জানায়, এক সময় ঢাকার একটি সাউন্ড সিস্টেমের দোকানের কর্মচারী ছিলেন ঘাতক আরিফুর রহমান (৩৫)। সেখানে কাজ হারিয়ে গত কয়েক বছর আগে গ্রামে ফেরেন তিনি। তারপর অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা। এরইমধ্যে ধারদেনার দায়ে হতাশাগ্রস্ত। একপর্যায়ে মাদকের দিকে পা বাড়ান আরিফ। এ পরিস্থিতিতে আরেক অটোরিকশা চালক ফারুক হোসেনের (৩৩) সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। কারণ, তারা দুজনেই মাদকসেবী। তবে তিক্ততা সৃষ্টি মাদকের টাকা টাকা নিয়ে। তাই আরিফ পরিকল্পনা করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে ফারুক হোসেনকে হত্যার।
আরও পড়ুন: উত্তরায় বাসায় মিলল চীনা নাগরিকের রক্তাক্ত মরদেহ
৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্জন একটি স্থানে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় ফারুক হোসেনকে। পরে সেই মরদেহ কুমিল্লার বরুড়া থেকে নিয়ে যাওয়া হয় চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ছোট ভবানীপুর গ্রামের পাকা সড়কে। তার ধারণা ছিল, অন্য জেলায় মরদেহ ফেলে রাখা হলে হত্যার দায় থেকে পার পাওয়া যাবে। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। এরইমধ্যে থানায় মামরা হলে মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে পুলিশের জালে ধরা পড়েন ঘাতক আরিফ। সঙ্গে যারা তার কাছ থেকে অটোরিকশা ক্রয় করেছিল তারাও।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফর রহমান, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম ও ফারুক হোসেন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক কামরুল হাসান।
অন্যদিকে, পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করায় দুপুরে আরিফসহ তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে চাঁদপুর জেলা কারাাগরে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব এক সংবাদ সম্মেলন করে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মূলত মাদকের টাকা ভাগাভাটি এবং মাদক বিক্রির টাকা না পেয়ে অপর অটোরিকশা চালক আরিফুর রহমান শ্বাসরোধে হত্যা করে তার বন্ধু ফারুক হোসেনকে। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতের এ ঘটনার পর চাঁদপুরের কচুয়ার ছোট ভবানীপুর এলাকায় গলায় রশি পেঁচানো বস্তাবন্দি মরদেহ ফেলে রাখে ঘাতক আরিফ।
আরও পড়ুন: সন্তানকে পোড়ানোর পর নিজের মাকে পিটিয়ে মারলেন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ছায়েরা বেগম কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে ঘটনার পর থেকে রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে কচুয়া থানা পুলিশ। একপর্যায়ে গত ২৪ ঘণ্টার এক অভিযানে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে প্রধান আসামি আরিফ, সহযোগী আল আমিন (২৪) এবং আবুল খায়েরকে (৪০) গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত অটোরিকশা এবং ভিকটিম ফারুক হোসেনের মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব আরও জানান, মূলত মাদকের টাকা ভাগাভাগি এবং মাদক বিক্রির টাকা না পেয়ে আরিফ তার বন্ধু ফারুককে শ্বাসরোধে হত্যা করে। বেশ বিচক্ষণতার সঙ্গে এবং দ্রুত সময়ে অটোরিকশা চালক ফারুক হোসেন হত্যা মামলার কিনারা করতে সক্ষম হয়েছেন, তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে, পুলিশ জানায়, এক সময় ঢাকার একটি সাউন্ড সিস্টেমের দোকানের কর্মচারী ছিলেন ঘাতক আরিফুর রহমান (৩৫)। সেখানে কাজ হারিয়ে গত কয়েক বছর আগে গ্রামে ফেরেন তিনি। তারপর অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা। এরইমধ্যে ধারদেনার দায়ে হতাশাগ্রস্ত। একপর্যায়ে মাদকের দিকে পা বাড়ান আরিফ। এ পরিস্থিতিতে আরেক অটোরিকশা চালক ফারুক হোসেনের (৩৩) সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। কারণ, তারা দুজনেই মাদকসেবী। তবে তিক্ততা সৃষ্টি মাদকের টাকা টাকা নিয়ে। তাই আরিফ পরিকল্পনা করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে ফারুক হোসেনকে হত্যার।
আরও পড়ুন: উত্তরায় বাসায় মিলল চীনা নাগরিকের রক্তাক্ত মরদেহ
৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্জন একটি স্থানে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় ফারুক হোসেনকে। পরে সেই মরদেহ কুমিল্লার বরুড়া থেকে নিয়ে যাওয়া হয় চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ছোট ভবানীপুর গ্রামের পাকা সড়কে। তার ধারণা ছিল, অন্য জেলায় মরদেহ ফেলে রাখা হলে হত্যার দায় থেকে পার পাওয়া যাবে। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। এরইমধ্যে থানায় মামরা হলে মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে পুলিশের জালে ধরা পড়েন ঘাতক আরিফ। সঙ্গে যারা তার কাছ থেকে অটোরিকশা ক্রয় করেছিল তারাও।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফর রহমান, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম ও ফারুক হোসেন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক কামরুল হাসান।
অন্যদিকে, পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করায় দুপুরে আরিফসহ তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে চাঁদপুর জেলা কারাাগরে পাঠানো হয়েছে।

0 Comments