সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Ad Code

আবু সাঈদের নামে কোচিং সেন্টার, শিক্ষার্থীকে রাখা হলো হাজতে

থানায় নিয়ে আসা শিক্ষার্থী এবং হাজাতের সামনে অপেক্ষমাণ তার স্ত্রী।

 

রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের নামে কোচিং চালুর অভিযোগ, কলেজছাত্র থানায় আটক

রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের নামে কোচিং সেন্টার খোলার অভিযোগে হাসান আলী নামে এক কলেজছাত্রকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে মহানগর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একদল নেতাকর্মী। পরে পুলিশ তাকে মহানগর কোতোয়ালি থানায় আটক রাখে।

তর্ক-বিতর্কের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর এলাকায় হাসানের বাসায় যান আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। সেখানে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা হাসানকে পুলিশের কাছে তুলে দেন।

এর আগে, একটি ভিডিওতে রফিক আহমেদ রাজ নামে এক ইংরেজি শিক্ষক শহীদ আবু সাঈদ কোচিং সেন্টার খোলার ঘোষণা দেন। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। অভিযোগ ওঠে, কলেজছাত্র হাসান আলী ওই কোচিং সেন্টারের ফেসবুক পেজটি খুলে দিয়েছিলেন।

থানায় আটকের পর বৈষম্যবিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা

রাতে মহানগর কোতোয়ালি থানায় গিয়ে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতাকর্মী পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করছেন, আর হাসানকে হাজতে রাখা হয়েছে। হাজতের বাইরে তার স্ত্রী ও বাড়ির মালিক অপেক্ষা করছিলেন।

হাসানের স্ত্রী শারমিন খাতুন বলেন,

“আমার স্বামী শিক্ষক রফিকের কাছে ইংরেজি শিখতেন। তিনি একটি কোচিং সেন্টার খুলতে চেয়েছিলেন। ফেসবুক পেজ খোলার জন্য আমার স্বামীর সাহায্য নিয়েছিলেন।”

তার দাবি,

“স্বামীকে জোর করে থানায় এনে হাজতে রাখা হয়েছে, অথচ তার কোনো দোষ নেই।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন,

**“শহীদ আবু সাঈদের নাম ব্যবহার করে কেউ ব্যবসা করলে আমরা তার বিরোধিতা করি। এখানে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, যা অযথাই বাড়াবাড়ি


 

Post a Comment

0 Comments