ইসলামের সহিহ শিক্ষা নিতে বাংলাদেশে এসেছি

 

ইজমেতার প্রথম পর্বে অংশ নিয়েছেন ৭৬ দেশের তিন হাজারের বেশি নাগরিক। প্রত্যেকের উদ্দেশ্য খ্যাতনামা আলেমদের বয়ানে নিজেকে সমৃদ্ধ করা। ইজতেমা শেষে ইসলামের প্রচারে বের হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। 

লাখো বাংলাদেশির সঙ্গে ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা। আখেরি মোনাজাত শেষে তারা বের হবেন দ্বীনের দাওয়াতে। ইজতেমা আসা বিদেশি মুসল্লিদের একজন বলেন, ‘ইসলামের সহি শিক্ষা নিতে বাংলাদেশে এসেছি। ইজতেমায় আলেমদের বয়ান শুনে অনেক সমৃদ্ধ হয়েছি। ইজতেমা শেষে বের হবে ইসলাম প্রচারে।’

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়া বিদেশি আরেক মুসল্লি বলেন, ‘এটি আমার ২০তম অংশগ্রহন। বাংলাদেশের আয়োজন আকৃষ্ট করেছে বারবার।’ অপর একজন বলেন, ‘হজের পর মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় মহাসম্মেলন এই ইজতেমা। ওলামাদের তত্ত্বাবধায়নে এই ইজতেমা সঠিক। এই ইজমেতার বার্তা ছড়িয়ে পরুক সারা বিশ্বে।’

বিদেশি নাগরিকদের জন্য এবার ছয়টি তাবু করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শংঙ্কা নেই বিদেশিদের মনে। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় খুশি তাঁরা।

আয়োজক কমিটির শুরায়ী নেজামের মুরব্বী মাহফুজ হান্নান জানান, প্রথম পর্বে অংশ নিয়েছে ৭৬ দেশের তিন হাজারের বেশি নাগরিক। যাদের বেশিরভাগ অংশ নিয়েছে ভ্রমণ ভিসায়।

আগামীকাল রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজমেতার প্রথম পর্ব শেষ হবে। সোমবার থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বেও বহু বিদেশি মুসল্লি অংশ নেবেন বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।