কুমিল্লার দেবিদ্বারে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মসজিদে হামলার ঘটনায় আহত ইব্রাহীম খলিল (৫০) মারা গেছেন। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ইব্রাহীম খলিল দেবিদ্বার পৌর এলাকার ফতেহাবাদ দক্ষিণপাড়ার মৃত হাসন আলীর ছেলে। তিনি ফতেহাবাদ বায়তুল আল আকসা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ইব্রাহীম খলিলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক মাস আগে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে গ্রামের ছেলেদের মধ্যে বিরোধ হয়। ওই ঘটনার সূত্র ধরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে কান্দারপাড় এলাকার ব্রিজের ওপর মাসুদ ও কামরুলের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
পরে মাসুদ, ওবায়দুল ও জিল্লুরের নেতৃত্বে রাত সাড়ে ৯টায় কামরুলদের ওপর হামলা চালায়। কামরুল ‘বায়তুল আকসা জামে মসজিদে’ আশ্রয় নিলে তারা মসজিদের ভেতরে ঢুকে হামলা চালায়। মসজিদে তখন শবেবরাতের নামাজ চলছিল। মুসল্লিরা হামলাকারীদের বাধা দিলে তাদের আঘাতে সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিলসহ ১২ জন আহত হন। তার আঘাত মারাত্মক হওয়ায় সে রাতেই তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টায় ইব্রাহিম মারা যান। ওই ঘটনায় ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ইব্রাহীম খলিলের বড় ভাই ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ২১ জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাত ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
দেবিদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, শত্রুতার জেরে শব-ই-বরাতের রাতে ফতেহাবাদে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, মসজিদে হামলা ও ভাঙচুর হয়। এ ঘটনায় আহত ইব্রাহীম খলিল মারা গেছেন। তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

0 Comments