সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Ad Code

অটোচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, অভিযোগ ছাত্রদল নেতার দিকে

 

পটুয়াখালীতে অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় অটোরিকশার এক চালককে পিটিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় ছাত্রদলের এক নেতার নেতৃত্বে ৪-৫ জন ব্যক্তি জড়িত।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজারের দক্ষিণ পাশে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মো. সুজন হাওলাদার (৩০) একই ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের নবী আলী হাওলাদারের ছেলে। স্থানীয় যুবলীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সুজন তাদের কর্মী ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের বিবরণ

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার জানিয়েছে, সুজন অটোরিকশা নিয়ে কনকদিয়া বাজারে যাওয়ার পথে একদল সশস্ত্র যুবক তার পথ রোধ করে। তারা সুজনকে পিটিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সুজনের শরীরে ছুরিকাঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল।

পরিবারের অভিযোগ

সুজনের বাবা নবী আলী হাওলাদার দাবি করেছেন, তাদের পরিবারের কোনো শত্রুতা নেই এবং তারা আওয়ামী লীগের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মূনঈমুল ইসলাম মিরাজের নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

অভিযুক্তের প্রতিক্রিয়া

অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মূনঈমুল ইসলাম মিরাজের বক্তব্য পাওয়া যায়নি, কারণ তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

নিহত সুজনকে কনকদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী হিসেবে দাবি করেছে স্থানীয় যুবলীগ। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতিতে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

পুলিশের অবস্থান

বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক কারণ নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।

Post a Comment

0 Comments