মিছিল শেষে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জশদ জাকিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোনাল চাকমা।
এ সময়ে বক্তারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ২৬ জন পোশাকশ্রমিক শহীদ হয়েছেন। অভ্যুত্থানের বদৌলতে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই খুন হলেন দুজন পোশাকশ্রমিক। এখানেই শেষ নয়। রাষ্ট্রের গুলিতে নিহত শ্রমিকের এ তালিকা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। শ্রমিকের আন্দোলনও একদিনের নয়। স্বৈরাচার আওয়ামী শাসনে বেতনভাতা, বকেয়া বেতন, বোনাস ও মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন করেছেন। প্রতিটি আন্দোলনে সরকার ও মালিক পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে হত্যা করেছে শ্রমিকদের। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়েও শ্রমিকদের প্রতিদিন ছাঁটাইয়ের ভয়ে এখনও কাজ করে যেতে হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, ২৬ জন পোশাকশ্রমিকের আত্মত্যাগের ফসল আমরা ভোগ করছি। একজন মালিক সহজেই ট্যাক্স ফাঁকি দিতে পারে কিন্তু একজন পোশাকশ্রমিক তার কাজে ফাঁকি দিতে পারে না। শ্রমিক দিনরাত কাজ করে যে সম্পদ তৈরি করে। তার থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ট্যাক্সের টাকা আসে। এখানকার শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা হয় সেই টাকায়। এখানকার শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন হয় সেই টাকায়।
0 Comments