রাজধানীর ব্যস্ততম একটি এলাকায় ফুটপাথ দখলের বিষয়ে প্রশ্ন করায় এক সাংবাদিকের দিকে তেড়ে এলেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার এক সমন্বয়ক। ঘটনাটি ঘটে গতকাল দুপুরে, যখন সাংবাদিক পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাংবাদিক ফুটপাথে অবৈধ দখলদারদের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সমন্বয়ক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি সাংবাদিককে থামতে বলেন এবং প্রশ্ন করা বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। একপর্যায়ে তিনি ক্ষুব্ধভাবে এগিয়ে আসেন এবং উত্তেজিত কণ্ঠে বিতর্কে জড়ান।
সাংবাদিকের বক্তব্য
ঘটনার শিকার হওয়া সাংবাদিক বলেন, “আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। ফুটপাথে সাধারণ মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তাই দায়িত্বশীল ব্যক্তির মতামত নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি প্রতিক্রিয়া দেখালেন আগ্রাসীভাবে, যা পেশাগত স্বাধীনতার পরিপন্থী।”
প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতিক্রিয়া
এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় ফুটপাথ দখলের সমস্যা রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাধারণ পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একজন পথচারী বলেন, “আমরা প্রতিদিন ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে পারি না। দোকানপাট আর অবৈধ স্থাপনার কারণে রাস্তার ওপর দিয়েই চলতে হয়।”
কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ও দায়বদ্ধতা
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফুটপাথ দখলমুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। শুধু অভিযান চালালেই হবে না, বরং এর স্থায়ী সমাধানের জন্য কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দেন। তবে অনেকেই মনে করেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা ও জনসাধারণের অধিকার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন।
এ ঘটনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীল প্রশাসনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আরও একবার সামনে নিয়ে এসেছে। পথচারীদের চলাচলের অধিকার নিশ্চিত করতে ও সাংবাদিকদের নির্ভয়ে কাজ করার সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন।
0 Comments