এসময় উদীচীর জেলা কমিটির সভাপতির ওপর চড়াও হওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত তারুণ্য মেলায় উদীচীর ৪১ নম্বর স্টলে এসব ঘটনা ঘটে।
এর আগে বিকালে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর মেলায় স্থান পাওয়ায় ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানিয়ে স্টলের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরার আহ্বায়ক আরাফাত রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন রনি।
আরাফাত অভিযোগ করে বলেন, “জুলাই বিপ্লবে উদীচী আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছিল। বিপ্লবের পর ১৫ অগাস্ট শোক দিবস বাতিলের নিন্দা জানিয়েছে উদীচী।
“তারা জুলাই বিপ্লব প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছিল। শুধু তাই নয় এই স্টলে শেখ রাসেলসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন বই রাখা হয়েছিল।”
কীভাবে জেলা প্রশাসক তাদের স্টল বরাদ্দ দেয় এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আরাফাত।
নাজমুল হোসেন রনি বলেন, “চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে জেলা প্রশাসনকে এ ঘটনার জবাব দিতে হবে। তা না হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে।”
তিনি বলেন, “৫ অগাস্ট এর পরেও যারা আওয়ামী লীগকে প্রমোট করছে তাদের আমরা বাংলার মাটিতে চাই না। জেলা প্রশাসককে এর জবাব দিতে হবে। অগাস্টের আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ জানাচ্ছে।”
তবে উদীচীকে স্টল বরাদ্দ সম্পর্কে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিঞ্চুপদ পাল বলেন, “তারা কী করেছে তা তিনি সঠিক জানেন না।”
এ ব্যাপারে উদীচীর সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে তিনি স্টলের কাছে গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কয়েকজন তার ওপর চড়াও হয়। তখন তিনি ৫ অগাস্টের আন্দোলনে উদীচী রাজপথে ছিল জানালেও তারা নিবৃত হয়নি।
তিনি আরও জনান, স্টল থেকে ব্যানার-বই সরাতে চাইলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কয়েকজন বাধা দেয়। পরে সন্ধ্যায় তারা উদীচীর ব্যানারে অগ্নিসংযোগ করে।
তবে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক জটিলতার কারণে এ ব্যাপারে এখনই জেলায় কোনো কর্মসূচি দিতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
0 Comments