আ.লীগের লিফলেট বিতরণ দাবি করা শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মুকিব মিয়া আটক
‘আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করা আমার অধিকার’ বলে মন্তব্য করা শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মুকিব মিয়াকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমানের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুকিব মিয়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের সোহাগ-নাজমুল কমিটির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে, আটক মুকিব মিয়াকে আশ্রয় দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমান। এর প্রতিবাদে শেকৃবির ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে ওঠে আন্দোলন। শেকৃবি ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ইলিয়াসুর রহমানসহ আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার দাবি করে আলাদা আলাদা মিছিল করেন।
শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি তাপস কবির বলেন, “ক্যাম্পাসে আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচার না হওয়ায় তারা এখনও বুক ফুলিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে আসা অন্যান্য আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে শেকৃবির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাসা। আমরা দ্রুত তাদের বিচার ও প্রত্যাহার চাই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. তৌহিদ আহমেদ আশিক বলেন, “বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্তের নামে প্রহসন করছে। ৬/৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি। ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের পদচারণায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনকে আগামী তিন দিনের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের বিচার ও প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে সকল আওয়ামীপন্থিদের এলোটমেন্ট বাতিল করতে হবে।”
শেকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ বলেছেন, “আমরা দ্রুত সময়ে বিচার কাজ শেষ করব। আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত, সিন্ডিকেট মিটিংয়ের অপেক্ষায় আছে।”
এর আগে, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করেন মুকিব মিয়া। তিনি তখন বলেছিলেন, “লিফলেট বিতরণ করে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করিনি। ড. ইউনূস সংবিধান লঙ্ঘন করছেন, এর প্রতিবাদ করছি। আওয়ামী লীগও প্রতিবাদ করছে। তাই আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করা আমার অধিকার।”
চাকরিতে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, “আমি ছুটির আবেদন করেছি।”
0 Comments