সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পলাশগাঁও গ্রামের জিন্নত আলীর ছেলে ফজর আলী, মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. আজিজুল হক ভুদু ও দীঘলবাগ গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে আলমগীর।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে ফালান হত্যার এক মাস আগে একটি মোবাইল কয়েকদিন ব্যবহারের জন্য নেয় অভিযুক্ত ফজর আলী। কয়েকদিন পর মোবাইলটির ডিসপ্লে নষ্ট অবস্থায় ফালানকে ফেরত দিলে এ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে। স্থানীয়রা ফালানকে ডিসপ্লের টাকা দেওয়ার জন্য মীমাংসা করে দেয়।
পরে টাকা দেওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে শত্রুতা আরও বাড়ে এবং এক পর্যায়ে হত্যার পরিকল্পনা করে ফজর আলী। পরে নভেম্বরের তিন তারিখে রাত ১১টার দিকে দোকান থেকে ফেরার পথে ফালানকে কৌশলে অন্য জায়গায় নিয়ে তার গলায় থাকা গামছা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে অভিযুক্তরা। পরদিন সকালে ফালানের লাশ পুকুরে ভেসে উঠলে জানাজানি হয়।
অতিরিক্ত পিপি শেরেনূর আলী কালবেলাকে জানান, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৭ জন সাক্ষীকে উপস্থাপন করেছেন। দীর্ঘদিন পর আদালতে রায় ঘোষণার মাধ্যমে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।
0 Comments