গুলিতে আহত মো. জহুর আলী এখন ঢাকা পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) আছেন। লাইভে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরে গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ তাঁর বাঁ পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। এর এক মাস পর সাংবাদিক মাসুম হেলাল তাঁদের মামলা করার কথা বলেন। তাঁরা তখন মাসুম হেলালকে বলেছিলেন, যেহেতু পুলিশ তাঁকে গুলি করেছে তাই পুলিশের বিরুদ্ধে এই মামলা করবেন। পরে দেখা যায়, মামলায় ৯৯ জন আসামির নাম। নাম ছাড়া আরও আসামি ২০০ জন। মামলা দায়েরের সময় মাসুম হেলাল ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বলেন, একজন তাঁকে চিকিৎসার জন্য দিয়েছেন।
এই মামলা নিয়ে মহাবিপদে আছেন উল্লেখ করে জহুর আলী আরও বলেন, ‘পুলিশ আমারে গুলি করছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করব। কিন্তু পরে দেখি মাসুম হেলাল সবাইরে মামলায় ঢুকাইয়া দিছে। এই মামলা নিয়া এখন ব্যবসা শুরু হইছে। সে (মাসুম হেলাল) কোটি টাকা নিছে। শুনছি সে এখন কানাডা চইলা যাইব। টাকা নিয়ে জেলে ঢুকায়, বের করে। মামলায় যারার নাম নাই তারারে পুলিশ ধরে বেশি। লোকজন বলে, ‘‘আমরা টাকা নিচ্ছি।’’ এটা মিথ্যা। আমরা কোনো টাকা পাই নাই। আমরা গরিব মানুষ। এখন আমরা পড়ছি মহাবিপদে। সোমবার কোর্ট থেকে আমার ভাইরে তুলে নেওয়া হইছে।’ জহুর আলীর লাইভের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
0 Comments