দৃষ্টি সীমানার সংকীর্ণতায় সমন্বয়কদের ভবিষ্যৎ।
বৈষম্যরা দূরদৃষ্টির অভাবে যেটা দেখতে পারছে না সেটা হলো তাদের টিকে থাকার জন্য একমাত্র অবলম্বন রয়েছে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক।
বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব হয় জেলে, না হলে আত্মগোপনে। নেতৃত্বের দৃশ্যমান ফাংশন নেই। লিডারশিপের এই সংকটে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মী, সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপর নির্যাতন না চালিয়ে নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ করতে পারলে এই ভোট শেয়ারটা বৈষম্যদের হয়ে যেত।
আর এটা কঠিনও ছিল না। মীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে অহেতুক বিতর্ক না তুলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিয়ে গত তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা সরকারের গ্যাপগুলো নিয়ে কাজ করলেই হত। পূর্ববর্তী সরকারে থাকা কর্তাব্যক্তিদের চেয়ে তার অনেক ক্যাপাবল সেটা বোঝানোর তো অনেক সুযোগ ছিল। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নেতাদের সাথে তৃণমূলের কর্মীদের যে দূরত্ব ছিল তা ঘোচাতে পারলে ৩৯ শতাংশ ভোট আর সুইং ভোটারদের অর্ধেক ভোট টানতে পারলে লম্বা সময়ের জন্য টিকে যেত।
কিন্তু এরা কি করছে? ৩৯ শতাংশের সাথে জুলুম শুরু করেছে।
এদের পেছনে থাকা ভিড় লাখো মানুষ থেকে শ’য়ে নেমে এসেছে। গরু খাইয়ে লোক জড়ো করতে হয়। এরপরেও দৃষ্টির সীমাবদ্ধতার জন্য এদের লক্ষ্য রাষ্ট্রপতি আর ভগ্নীপতি’র কে বিদায় করে, আওয়ামী লীগ বিরোধীদের যে মাঠে এতো এতো প্লেয়ার পজিশন দখল করে বসে আছে, সেখানেই খেলতে যাওয়ার - ব্লু ওশান ছেড়ে, রেড ওশান।
ফলাফল কী?
অপ্রয়োজনীদের মাথার উপর কেউ হাত রাখে না। যতই প্ল্যান মেটিকুলাস করে ক্ষমতা দখল করুক, নিজেদের দৃষ্টির সীমাবদ্ধতার জন্য এরা জিয়া কিংবা এরশাদ হতে পারবে না, অপ্রাসঙ্গিকদের তালিকায় নাম লিখিয়ে, অপাংক্তেয় হয়ে বিদায় নিতে হবে।
তথ্যসূত্র ...তথ্যসূত্র:
[১] সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জামায়াত ও অন্যান্য দলের যত হিসাব |
[২] পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের তিন রাজনৈতিক দল- কার অবস্থান কি? |
0 Comments