সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Ad Code

হালনাগাদ শেষ হচ্ছে কাল, বাড়ি বাড়ি যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা


 ভোটার তথ্য সংগ্রহ শেষ হচ্ছে, কিন্তু অনেক এলাকায় বাড়ি বাড়ি যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা

ঢাকা, বাংলাদেশ: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত সময় অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার শেষ হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারের তথ্য সংগ্রহের কাজ। কিন্তু শেষ সময়েও রাজধানীর অনেক এলাকায় তথ্য সংগ্রহকারীরা ভোটারদের বাড়িতে আসেননি। গতকাল শনিবার পর্যন্ত ইসির কোন প্রতিনিধি ভোটারদের বাড়িতে না আসায় -এ অভিযোগ জানিয়েছেন অনেক ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকরা।

ভোটাররা জানান, তাদের আশঙ্কা হচ্ছে, যদি হালনাগাদ তালিকায় তারা ভোটার হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত না করতে পারেন, তবে দীর্ঘসূত্রতায় পড়তে হবে। একাধিক ভোটার জানান, যারা এখনও ভোটার হয়েছেন, তারা নিজ উদ্যোগে তথ্য সংগ্রহকারীদের কাছে গিয়ে নিবন্ধন করেছেন। তারা ভেবেছিলেন, বাড়িতে এসে তথ্য সংগ্রহকারীরা তাদের নিবন্ধন করবেন, কিন্তু তা হয়নি।

আমার দেশ-এর পক্ষ থেকে সরেজমিনে তদন্ত করা হলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকাতেই তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি আসেননি। উল্লেখযোগ্য এলাকাগুলির মধ্যে আজিমপুর, বনশ্রী, ডেমরা, খিলগাঁও, মাদারটেক, মিরপুর, এবং মানিকদি অন্যতম। অন্যান্য এলাকার চিত্রও প্রায় একই রকম বলে জানা যায়।

ইসি’র সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, "আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি এবং উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। কমিশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে যাতে কোনো ভোটারযোগ্য নাগরিক তালিকা থেকে বাদ না পড়ে।"

ঢাকার লালবাগ রোড এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক জানান, তার পরিবারের ৯ জন সদস্য ভোটার হওয়ার যোগ্য। তিনি জানান, ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ হবে, তবে এখনও তাদের এলাকায় বা বাড়িতে কোন তথ্য সংগ্রহকারী আসেননি। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "যদি এ বছর ভোটার না হতে পারি, তবে ভবিষ্যতে দীর্ঘসূত্রতার শিকার হতে পারি।"

তিনি আরো জানান, স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয়ে সনদ বাণিজ্য চলছে, যেখানে প্রত্যয়ন নিতে গেলে জনপ্রতি ৫০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে, যা সরকারি রেটের চেয়ে অনেক বেশি। তার পরিবারের ৯ সদস্যের জন্য প্রায় ৫ হাজার টাকা লাগবে বলে তিনি জানান।

আজিমপুরের বাসিন্দা সালাউদ্দিন ভুলু অভিযোগ করেন, তার আত্মীয়দের মধ্যে দুইজনের ভোটার হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারী না আসায় তারা ভোটার হতে পারেননি।

মানিকদি, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিক ও খিলগাঁও মাদারটেক এলাকার বেসরকারি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার নাজমূল হাসান রিপন-এর মতো আরও অনেকেই একই অভিযোগ জানিয়েছেন, তারা ভোটার তথ্য সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাননি।

ইসি কর্তৃক ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হতে যাচ্ছে। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৮ লাখ নতুন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, কিন্তু যারা বাড়ি বাড়ি যাননি, তাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

Post a Comment

0 Comments